গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা যখন যাত্রা করেছিল, তখন নৌবহর গাজায় উপকূলে পৌঁছবে কি না; তার থেকে একটি বড় বিষয় আলোচিত হয়—এর বিশ্ববার্তা নিয়ে। এর মাধ্যমে তারা জানান দেয়—গাজা একা নয়। শত শত নারী-পুরুষ অবরুদ্ধ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেপরোয়া ও আক্রমণাত্মক সামরিক দখলদারত্বের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার, নির্বাসন ও সংঘর্ষের ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক। তাদের লক্ষ্য, প্রতীকীভাবে ত্রাণসামগ্রী গাজা উপত্যকায় পৌঁছানোর মাধ্যমে আগ্রাসী ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ ভাঙা। পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে যখন গাজাবাসী অনাহারে অসার হচ্ছেন, শিশুরা ধুঁকে ধুঁকে মরছে; তার মধ্যে ‘গণহত্যার লাইভ স্ট্রিমিং’ চলছে—এরপরও চুপ থাকা বিশ্ববিবেককে জাগিয়ে তোলা। সব বাধা আর হামলা পেরিয়ে নৌযানগুলো যখন ভূমধ্যসাগরে, তখন তাতে হামলে পড়ে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। আটক করা হয় অধিকারকর্মীদের। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে লোকালয় থেকে লোকালয়ে। ফ্লোটিলায় ভূমধ্যসাগরের সেই ঢেউ আছড়ে পড়ে...