একই সঙ্গে শিক্ষকের নৈতিক দায়বদ্ধতাও অনস্বীকার্য। সমাজ যখন দুর্নীতি, সহিংসতা ও অনৈতিকতার বিস্তারে নিমজ্জিত, তখন শিক্ষকের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে শিক্ষক নিজেই যদি দুর্নীতিতে লিপ্ত হন, তাহলে শিক্ষার্থীর সামনে সঠিক দিকনির্দেশনা থাকবে না। তাই শিক্ষকদের আত্মশুদ্ধি, আদর্শিক দৃঢ়তা ও দায়বদ্ধতা অপরিহার্য।আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থাও হতাশাজনক। ফিনল্যান্ড, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ায় শিক্ষকতা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা, যেখানে শিক্ষকরা উচ্চ বেতন, সামাজিক মর্যাদা ও নানা সুবিধা পান। উদাহরণস্বরূপ, ফিনল্যান্ডে শিক্ষকরা গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার ইউরো মাসিক বেতন পান এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সরকারি অনুদান উপভোগ করেন। অথচ বাংলাদেশে শিক্ষকরা সামাজিক সম্মান পেলেও অর্থনৈতিকভাবে অবহেলিত। ফলে প্রতি বছর ৫ অক্টোবরের আনুষ্ঠানিকতা বাস্তব পরিবর্তনে রূপ নেয় না।একটি জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে তার শিক্ষকের অবস্থানের ওপর। শিক্ষককে অবহেলা করে কোনো জাতি উন্নতির সোপানে পৌঁছাতে পারে...