ছেলেবেলায় ঈষাণ কোনে হঠাৎ আকাশে ঘনকালো মেঘের ঘনঘটা এবং মাঝেমধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাতে দেখলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়তাম। এই বুঝি ভয়ংকর ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত আসন্নপ্রায়। ঘটতও তাই, বিশেষ করে বর্ষার আগে পরে এবং আশ্বিন অথবা চৈত্র-বৈশাখে। তখন অতকিছু বুঝতাম না। বাস্তবে সুদূর গ্রাম-গঞ্জ-প্রান্তরে কোনো রাখাল বালককে খুব দ্রুত বেগে গবাদি পশুর পাল ঠেঙিয়ে ফিরতে দেখতাম নিজের ডেরা অথবা গোয়ালে। গবাদি পশুর পালের পেছনে উড়ত রাশি রাশি ধুলো, যে কারণে গোধূলিবেলায় অহরাহ্নের আলো প্রায় নিষ্প্রভ হয়ে যেত। ততক্ষণে ঘন কালো মেঘে আকাশ প্রায় ছেয়ে যেত এবং সেই সঙ্গে লেসার সদৃশ ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলক অথবা চমকানি, মুহুর্মুহু গর্জন সর্বোপরি কয়েক ফোঁটা থেকে শুরু করে অনতিপরেই ঝম ঝম করে ধেয়ে আসত বৃষ্টি ও বাতাস এবং মাঝেমধ্যে বজ্রপাত। কখনোবা হতো শিলাবৃষ্টি- ছোট টুকরা...