গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের হাত ধরে অনেকের সঙ্গে ভাগ্য খুলেছে আমাদের এক জুনিয়র বন্ধু আবুল হাসেমের (ছদ্মনাম)। অনেক ‘বঞ্চনার শিকার’ হয়ে সে আটকে ছিল উপসচিবের ‘হাফ টেবিলে’। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তরতর করে তাঁর একাধিক পাওনা পদোন্নতি মিলে গেছে। সবাই খুশি। কিন্তু তাঁর ছয় বছরের নাতির মন খারাপ। নানার পদোন্নতির সুবাদে তাদের বড় ফ্ল্যাটে, বিশেষ করে ঢাউস ড্রয়িংরুমে সে সবকিছু আবছা দেখে। তার কথায় প্রথমে কেউ কান দেয়নি। মনে করেছিল, শুধু শুধু ‘প্যানপ্যান’ করছে। মা–বাবা কাছে না থাকলে (মা-বাবা দুজনই কোরিয়ায় পড়ালেখা করছে) শিশুরা সেই ক্ষোভ নানাভাবে প্রকাশ করে। তা ছাড়া সে বাসা বদলে রাজি ছিল না। ওখানকার বন্ধুদের সঙ্গে সে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল। শিক্ষিত নানা-নানি এসব কার্যকারণ মিলিয়ে শিশুটির অভিযোগ নিতান্তই বাহানা মনে করেছিলেন। চোখ নিয়ে ‘সমস্যা’য় পড়া পাখির ডাকে সাড়া...