যশোর সদরের তেঘরিয়া গ্রামের একরামুল হোসেন। ৩৪ বছর ধরে তাঁতের গামছা বুননের কাজ করছেন। এই কাজ করে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। তাই ৫২ বছর বয়সে এসে পেশা বদল করেন। এখন তিনি কাঠের খুন্তি, চামচ, লেবু চাপা, ডালঘুঁটনি তৈরি করে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। নিজেই গড়ে তুলেছেন কারখানা। এখন সেই কারখানায় নারী-পুরুষ মিলে ১৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। একরামুলের মতো তেঘরিয়া গ্রামের অন্তত ২৬ জন উদ্যোক্তা কাঠের খুন্তি, চামচ, লেবু চাপা, ডালঘুঁটনি, কাঠের চিরুনিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরির ২৬টি কারখানা গড়ে তুলেছেন। এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এসব কুটিরশিল্পে গ্রামের ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তেঘরিয়া থেকে বছরে অন্তত ৫ কোটি টাকার পণ্য যাচ্ছে সারা দেশে।...