রাজশাহীর এক নিভৃত গ্রামের বাসিন্দা মিনারুল ইসলাম কখনও কাজ করতেন দিনমজুরের, কখনও বাস চালকের সহকারী হিসেবে, আবার কখনও কৃষিজমিতে। এতসব কাজ করেও যে আয় হত, তা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে টিকতে পারছিলেন না। এনজিওর ঋণের বোঝা আর অনটনের চাপে ভেঙে পড়া মিনারুল গত ১৪ অগাস্ট স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ‘হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার’ পথ বেছে নেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। ঘটনাস্থলে পাওয়া চিরকুটে তিনি লিখে গেছেন, “আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না।” তার একদিন আগেই গেল ১৩ অগাস্ট দেশের আরেক প্রান্ত কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নিজ ঘর থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, ‘অভাব-অনটন, ঋণের চাপ আর দীর্ঘদিনের অসুস্থতার জেরে’ মেয়েকে নিয়ে ‘বিষপানে আত্মহত্যা’ করেছেন মা। এ দুই ঘটনার পর মাস খানেকের...