ওয়াকারে চেপে ঘরময় ছুটে বেড়ায় এক বছরের মেয়ে সোহা। তার পাশে পাশে হাঁটুতে ভর দিয়ে এগিয়ে চলেন বাবা খালেদ মাহমুদ খান। এ সময় তাঁদের দুজনকে প্রায় সমান উচ্চতার মানুষ বলেই মনে হয়। এ প্রসঙ্গে খালেদ বলেন, ‘আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী আর মেয়েটা হাঁটা শিখছে। বাপ-বেটি দুজনেরই এখন একই অবস্থা। দুজনেই হামাগুড়ি দিই। এটা যতটা কষ্টের, ততটাই আনন্দের।’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খালেদ মাহমুদ খানের কিছু ছবি ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি হাঁটছেন, কখনো ফসলের মাঠে কাদায় পা ডুবিয়ে ধান লাগাচ্ছেন। আবার কখনো গাছতলা দিয়ে চলেছেন বাইসাইকেল চালিয়ে। কিন্তু বাস্তবে চল্লিশ বছর বয়সী এই মানুষটি হাঁটতে পারেন না। প্রায় ১৮ বছর আগে পুরোপুরিভাবে দুই পায়ে চলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি। তার ওপর শরীরে বাসা বেঁধেছে টিনিটাস নামের ব্যাধি। টিনিটাসে আক্রান্তরা চারদিক নিস্তব্ধ থাকার পরও...