চিকিৎসকরা বলছেন, মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরনের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদি পশুর কাঁচা মাংস, শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সরাসরি সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদি পশু থেকে মানুষে ছড়ায়। তবে কোনো মানুষ আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে অন্য মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় না। এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে শরীরের চামড়ায় ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি হওয়া। মানুষের পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে সাধারণত হালকা জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যায়, তা শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে। এ ধরনের অ্যানথ্রাক্সে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে এবং চামড়ায় ক্ষত তৈরি হয়।...