এখানকার রাখালদের জীবন বেদুইনদের মতো। মহিষের পিঠে চড়ে তারা ঘুরে বেড়ায়। বাঁশি বাজায়, গান গায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, চরমন্তাজ, টুঙচর ও চরফারুকির মতো বেশ কয়েকটি চরের বাথানে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-মহিষ চরে বেড়ায়। সাগরের কোল ঘেঁষে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মোহনার বিস্তীর্ণ চরে (তৃণভূমি) মানুষ ও পশুর জীবন পুরোপুরি নির্ভরশীল নদীর জোয়ার-ভাটার ওপর। জোয়ার-ভাটার নিয়মে বাথানে গরু-মহিষদের বিচরণ করতে হয়। দিন-রাতের বিচারে নয়, নদীর জোয়ার-ভাটার নিয়মে গরু-মহিষ ও মানুষের জীবন পরিচালিত হয়। ঢালচরের মহিষের রাখাল (রাখফাল) মিজানুর রহমান জানান, দিন-রাতের নিয়মে গরু-মহিষ বিচরণ করে না। রাখালদেরও দিন-রাত নেই। চরের মানুষ ও পশুদের সবটাই চলে জোয়ার-ভাটার নিয়মে। জোয়ারের সময় গরু-মহিষ কিল্লায় ওঠে, আর ভাটার সময় কিল্লা থেকে বের হয়। বিশাল চরের তৃণভূমিতে তারা ঘাস খায়। পাতিলার চর এলাকার বাসিন্দা বাবুল...