কবির কোনো দোষ নেই,লিখতে লিখতে একটা পাণ্ডুলিপি দাঁড়িয়ে যায়,এরপর কবির ভাবনায় অনেক কিছু আসে,আবার প্রায় কিছুই আসে না,পাণ্ডুলিপি দাঁড়িয়ে গেছে, এটাই ‘কতা’!কবিতার খাতার সীমানার ওপারে মানুষ বাস করে,সেখানে কত ধরনের দ্বন্দ্ব, সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস!কবিতার খাতায় সৃষ্টিশীল অক্ষরদের আঁকিবুঁকি,আর সীমানার ওপারে মানুষের সংগ্রাম,এর মধ্যেই পথের ধারে কিছু বুনো ফুল ফুটে থাকে। বাগানে বসে আছি,গতকাল দুটো ফুল পাপড়িগুচ্ছ মেলে ধরেছিল,দুটো পাখি ছিল, জোড় বেঁধে উড়ে গেল,সূর্য যাচ্ছে কোনো দূরদেশেনিয়মিতই সে এসে আবার চলে যায়,সন্ধ্যার ট্রেন আজ সকাল সকাল ছেড়ে দিয়েছে,কাঠের পাটাতন থেকে জীবনের আওয়াজ আসছে। ঘুরে ঘুরে কারাগারে আলো ফেলে শরতের চাঁদ,আজ যত বন্দী,একদিন তারাও চাঁদ দেখেছিলনারকেলগাছের পাতার ফাঁক দিয়ে,দুপুরে চার ঘণ্টা নিরপরাধ ঘুম,তারপর কত বিকেল-সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়,বাইরে জায়গার বড্ড অভাব,একবার শৃঙ্খলিত হলেই যেন শান্তি,রেশনিংয়েরও ব্যবস্থা নেই,কোজাগরী চাঁদ এসে চলে যাক,হেমন্তে যদি...