এক সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন পঞ্চাশোর্ধ আলেপ মৃধা। ঘামঝরা পরিশ্রমে চার ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছেন তিনি।অথচ সেই সন্তানদের কাছেই এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই মানুষটি। জীবনের শেষ প্রহরে এসে তাঁর কপালে জুটেছে নিদারুণ কষ্টের গল্প। স্ট্রোকজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গত আড়াই বছর ধরে ফুটপাতেই চলছে তার জীবন-সংসার। তবুও সন্তানদের কাছে আর ফিরতে চান না তিনি। তাঁর আকুতি, অনুযোগ, সব মিলিয়ে যেন এক আর্তনাদে ধ্বনিত হয়—‘মইরা যাওয়াই ভালো ভাই!’ ফরিদপুর শহরের সরকারি সার্কিট হাউস সংলগ্ন সড়কের পাশে দেখা মেলে এই দম্পতির। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনেই মাদুর বিছিয়ে দুই মাস ধরে রয়েছেন তারা। এর আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একইভাবে কাটিয়েছেন দিনরাত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলেপ মৃধা ফরিদপুর শহরতলীর শোভারামপুর স্লুইসগেট এলাকার মৃত মঙ্গল মৃধার...