কোনও এক গ্রামীণ উঠোন। মাচায় শুকোচ্ছে চিকন বাঁশের শলা। পাশে বসে আছেন একদল নারী-পুরুষ, হাতে কাস্তে আর ছুরি, চোখেমুখে শ্রমের ছাপ। বাঁশের কুলি থেকে খলই, মাছ ধরার চাঁই, কিংবা কৃষিজ সরঞ্জাম এসবই একসময় তাদের হাতের জাদুতে তৈরি হতো। অথচ এখন সেই হাতগুলো অনেকটা অব্যবহৃত, কারণ বাজারে আর চাহিদা নেই। প্লাস্টিকের দাপটে টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে এই বাঁশশিল্প। সংকটে পড়েছে জয়পুরহাটের মাহালী সম্প্রদায়। গ্রামবাংলার চিরায়ত জীবনে বাঁশ ছিল অনিবার্য উপাদান। সংসারের প্রতিটি কাজে বাঁশের পণ্য ব্যবহার হতো। মাহালীদের সুদক্ষ হাতের কারুকাজে তৈরি মাদুর, ডালি, দোলনা, ঝুড়ি, মাছ ধরার ফাঁদ, এমনকি ফুলদানি ও ছবির ফ্রেম এসবের চাহিদা একসময় ছিল তুঙ্গে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঁশশিল্প ছিল তাদের একমাত্র জীবিকা। কিন্তু আধুনিকতার ঢেউ আর প্লাস্টিক শিল্পের আগ্রাসনে আজ তা কালের গর্ভে...