১৯৮৯ সাল, গোবিন্দের বয়স তখন ১০-১২ বছর। দুপুর বেলা নারকেল পাড়ার জন্য গাছে উঠার সময় পড়ে যায় মাটিতে। এতে তার দুটি হাত-পা ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়, থেঁতলে যায় মুখমণ্ডল। তার বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। রাখে আল্লাহ মারে কে! গোবিন্দ বেঁচে গেছে ঠিকই কিন্তু খণ্ড বিখণ্ড দুটি হাত কোনোমতে নাড়াচাড়া করতে পারে। এই হাত দিয়ে আর কষ্টের কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব না। তবুও জীবনযুদ্ধে হার মানেননি প্রতিবন্ধী গোবিন্দ বিশ্বাস (৪২)। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার পুরাইকাটি গ্ৰামের শক্তিপদ বিশ্বাসের ছেলে; চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। গোবিন্দ জানান, তাই বলে তো আর বসে থাকলে চলবে না। জীবনযুদ্ধে তাকে জয়ী হতে হবে। এ দৃঢ় মনোবল নিয়ে মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে শুরু করেন বাদাম ভাজা বিক্রি। পাইকগাছার সিনেমা হলের দর্শনার্থীদের কাছে বাদাম বিক্রি...