দুর্গা পূজা এলেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, সংকট ও তর্ক ওঠে। কিন্তু এই নিরাপত্তার তর্ক আজও প্রশ্নহীনভাবে অমীমাংসিত থেকে যায়। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রচলিত ডিসকোর্স একইসঙ্গে খণ্ডিত এবং স্টেরিওটাইপিক। দুর্গা পূজার কৃত্য-আয়োজন কৃষিজীবী সমাজের একটি নির্মাণ। তাহলে আজ এমন পরব-উৎসবের নিরাপত্তা-তর্ক কি কেবলমাত্র ‘মূর্তি ভাঙা’ বা ‘মণ্ডপ পাহারা’র ভেতর সীমাবদ্ধ থাকতে পারে? দুনিয়ার সকল প্রার্থনা, কৃত্য ও পরব বিকশিত হয়েছে স্থানীয় বাস্তবতার বহুমাত্রিক সম্পর্কের মধ্যে— প্রকৃতি এবং সংস্কৃতির জটিল ব্যাকরণে। এই ব্যাকরণ নানা ভূগোলের নানাজীবনে নানা ভঙ্গি ও ব্যঞ্জনা নিয়ে বিকাশমান। যেমন, শারদীয় বা শরৎকালের দুর্গা পূজার আয়োজন আর বাসন্তী বা বসন্তকালের দুর্গা পূজার আয়োজন এক নয়। সাঁওতালসহ কিছু আদিবাসী জাতি হুদুড় দুর্গা পালন করে; মূলত মহিষাসুরের কৃত্য স্মরণ করে এবং দাসাই নৃত্যগীতি পরিবেশন করে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, এমনকি ইন্দোনেশিয়ায় দুর্গা...