তারপর আরেকটু বড় হয়ে পেলামকচি-কাঁচা, আরও পরে এল, মানে আমরা হাতে পেলামটাপুর টুপুর। এগুলো আমাদের দেশের পত্রিকা। কী সুন্দর ছবি থাকত আর থাকত গল্প, ছড়া, মাঝেমধ্যে কমিকসও থাকত। ছবি আঁকতেন বিখ্যাত আর্টিস্টরা (তখন বুঝতাম না)—প্রাণেশ দাস, হাশেম খান, রফিকুন নবী। তখন আমি স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়তে শিখে গেছি। অর্থাৎ আমার শৈশব কেটেছে এসব মজার পত্রিকা পড়ে পড়ে। মাঝখানেকিশোর বাংলানামে একটা ট্যাবলয়েড পত্রিকাও চলেছে অনেক দিন। বেশ জনপ্রিয় ছিল পত্রিকাটা। সম্ভবত সেটি সাপ্তাহিক ছিল। সেখানেই প্রথম ছাপা হয়েছিলদীপু নাম্বার টু। টাপুর টুপুর(সম্ভবত চট্টগ্রাম থেকে এই পত্রিকাটা বের হতো) নিয়ে আমার অদ্ভুত একটা স্মৃতি আছে। তখন ১৯৭১ সাল। সারা দেশটাকে তছনছ করছে পাকিস্তানি সেনারা। আমাদের বাসা লুট হয়ে গেছে। আমরা ভাইবোনেরা মাকে নিয়ে নৌকায় করে অন্য একটা গ্রামে পালিয়ে যাচ্ছিলাম। যেতে হচ্ছে...