“ভগবতীপূজা করি, তার মানে—নিজের মাকেই উপাসনা করি।”মা-দুর্গার দশভুজা রূপের মধ্যেও আছে গভীর তাৎপর্য। ঘরের মা যদিও দ্বিভুজা, কিন্তু তিনি সংসারের ভার কাঁধে নিয়ে প্রতিদিনই যেন দশ হাতের কাজ করেন। স্বামী, সন্তান, গুরুজন, আত্মীয়-অতিথি—সবাইকে সেবা দেওয়া, আহারের ব্যবস্থা করা, ছোটদের শিক্ষা-লালন, সংসারে সাশ্রয় রাখা—এই সবকিছুর ভার তিনি সামলান অবিরাম। তাই প্রকৃত অর্থে প্রতিটি মা-ই পূর্ণ নারীত্বের প্রতীক, প্রকৃত দশভুজা।মায়ের হাতে যে দশপ্রহরণ, সেগুলো অস্ত্র হলেও কেবল অলংকার নয়; এগুলো তার শক্তির প্রতীক। অহংকার, লোভ, ক্রোধ, অভিমান, হিংসা ইত্যাদি অসুর-স্বভাবকে দমন করার শক্তিই হলো আসল অস্ত্র। তাই মা দুর্গতিনাশিনী, অসুরদলনী। মহিষাসুর বধের অর্থও তাই—আত্মম্ভরিতা ও পাশবিক ভোগলোলুপতার দমন। মানুষের ভেতরের পশুভাব নিয়ন্ত্রণ করে দেবভাব প্রতিষ্ঠা করাই মায়ের কাজ।শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনের অভিজ্ঞতাও দেখায়, মায়ের প্রতি আকুল টান থাকলে সন্তানের পক্ষে প্রলোভন বা অসৎ টানে...