মাঙ্গোশি শক্ত করে গাছটিকে জড়িয়ে ধরল, চোখ বন্ধ করলো, আর চোখ খোলার আগেই সে পৌঁছে গেল এক নতুন জগতে। সে দেখল বিশাল দানবের মতো গাছ, যাদের ডালপালা মেঘ ভেদ করে উঠে গেছে আকাশে। এরা হলো সিকোয়িয়া, বললো প্রবীণতম গাছ। এরা আমেরিকায় জন্মায়। কিছু গাছের বয়স এক হাজার বছরেরও বেশি। গাছ এতদিন বাঁচতে পারে? বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল মাঙ্গোশি। তারপর হঠাৎই সে নিজেকে খুঁজে পেল পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো গাছের সামনে। ওটা ছিল এক ব্রিসলকোন পাইনের গাছ। সে ভেবেছিল গাছটা হয়তো শুকনো, বেঁকে যাওয়া, ভাঙাচোরা হবে। কিন্তু না! প্রায় দশ হাজার বছরের পুরোনো হয়েও সে ছিল অদ্ভুত শক্তিশালী, ঠিক যেন নাচতে থাকা এক পাক খাওয়া নৃত্যশিল্পী। তুমি এত পুরোনো হয়েও এত শক্তিশালী দেখাও কীভাবে? জিজ্ঞেস করল মাঙ্গোশি। আমি মানুষ আর তাদের শহর থেকে...