বাংলাদেশে ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত একটি বহুল আলোচিত ও বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন হলো—“সকল প্রকার রেকর্ড খতিয়ান বাতিল”। অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এই ভেবে যে, যদি খতিয়ান বাতিল হয় তাহলে জমির মালিকানা কিভাবে নির্ধারিত হবে? নামজারি কিংবা খাজনা প্রদান কিভাবে সম্পন্ন হবে? আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়গুলোর বাস্তবতা, ব্যাখ্যা এবং প্রাসঙ্গিক আইনসমূহ তুলে ধরছি। খতিয়ান বাতিল: বাস্তবতা বনাম গুজবপ্রথমেই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি—বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কোনো আইনের মাধ্যমে “সকল প্রকার খতিয়ান বাতিল” ঘোষণা করেনি। বরং, প্রতিটি খতিয়ানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ভূমির মালিকানা যাচাই করা হয়। বর্তমানে যে সব খতিয়ান মালিকানা প্রমাণে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো হলো: প্রতিটি খতিয়ানই একটি নির্দিষ্ট সময়কালের প্রতিনিধিত্ব করে এবং জমির মালিকানা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত। খতিয়ানের ইতিহাস: কোথা থেকে শুরু?সিএস খতিয়ান শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামলে, ১৮৮৮...