আজিব বাহারের ছয় মাসের ছেলে যখন গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, ৩৮ বছর বয়সী মায়ের কাছে তখন সন্তানকে দেওয়ার মতো ওষুধ বা খাবার কিছুই ছিল না। ছেলেটি তার হাতের ওপরই মারা যায়। “আমার সন্তানরা ক্ষুধায় সারারাত কেঁদেছিল। আমি ঘাস সেদ্ধ করে তাদেরকে দিয়েছিলাম যেন চুপ থাকে,” কক্সবাজারে এক শরণার্থী শিবিরে বসে রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন বাহার। এ নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা পরে মিয়ানমারের সংঘাত আর ক্ষুধা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। সংঘাত, অবরোধ ও দাতাদের তহবিল কাটছাঁটের এক প্রাণঘাতী সংমিশ্রণের কারণে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত রাখাইন রাজ্য এখন এক ‘উদ্বেগজনক’ খাদ্য সঙ্কটের মুখোমুখি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। মিয়ানমারের এই রাজ্যটি বছরের পর বছর ধরে সংঘাত আর জাতিগত সহিংসতা, নিপীড়নের সাক্ষী হয়েছে, যার বেশিরভাগই গেছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা...