শরতের পড়ন্ত বিকেল। শুভ্র মেঘের ভেলা। কাশফুলের দোলানো বাতাস, ছোট্ট একটি সবুজ ও মায়া ঘেরা গ্রাম। দু’কুল বেয়ে কুল কুল করে বয়ে চলে বুড়িগঙ্গা নদী। মমতার আঁচল বিছানো ছবির মতো গ্রাম। যেখানে দু’চোখে জড়ানো থাকে কিশোর-কিশোরীদের শিউলী শুভ্রতার স্বপ্ন। সেখানে তানিয়ার বেড়ে ওঠা। একটি আনন্দমুখর পরিবেশে দিন কাটতো। মায়ের আদর, বাবার স্নেহে মায়ার বাঁধনে মন আনন্দে ভরে থাকতো। তানিয়া কখনো বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখেনি। এই মধুর সম্পর্ককে রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলতো মনের ক্যানভাসে। সুখী পরিবারের দৃশ্য এঁকে দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখতো। বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখতো, ‘উই আর হ্যাপি ফ্যামিলি। আই অ্যাম সো প্রাউড মাই মম অ্যান্ড ড্যাডি।’ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া। সে খুব মেধাবী। সে ছবি আঁকতে ভীষণ ভালোবাসতো। বড় হয়ে চিত্রশিল্পী হতে চায়। তাই মাঝে মাঝে অদ্ভুত ধরনের ছবি আঁকতো। মনের...