এর কয়েকদিন পর এক বৃদ্ধা এলেন সারির দরবারে। জটবাঁধা চুল তার, গালে আঁচড়ানোর দাগ। চোখ ব্যথার পানিতে ছলছল। সারির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, “মুসলমানদের হে অভিভাবক, একটা ছেলে ছিল আমার—তরতাজা, সুন্দর আর তরুণ। একদিন সে আপনার বয়ানে এসেছিল হাসতে হাসতে, ফুরফুরে মেজাজে। আর ফিরে গেল কাঁদতে কাঁদতে; বুক চাপড়াতে চাপড়াতে। তারপর কেটে গেল এতগুলো দিন। সে ফিরল না আর। কোথায় গেল সে, কিচ্ছু জানি না আমরা। বুক ভাঙা কষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছি আমি। তার বিচ্ছেদে পুড়ে মরছি মনের আগুনে। কিছু একটা করুন আপনি আমার জন্য, হুজুর।” বৃদ্ধার এই হৃদয় বিদীর্ণ আর্তি ভীষণ স্পর্শ করল সারির অন্তর। নরম কণ্ঠে তিনি বললেন, “কেঁদো না তুমি। এতে যে কল্যাণই নিহিত, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। যখন সে ফিরে আসবে, আমি নিজে থেকেই তোমাকে জানাবো...