মণ্ডপের প্রবেশপথে পাটকাঠি আর বাঁশের নানান রকম বুনন দর্শককে মনে করায় বৈদিক দর্শনের ‘পঞ্চভূতের’ একটি-পৃথিবীর (ক্ষিতি) ঘ্রাণ। ভেতরে ঝুলছে অলংকৃত নিশান, যেন অপ (জল) আনমনে খেলছে মণ্ডপে। সূর্যের আলো ঝলকাচ্ছে বুননের ফাঁক গলে, লাল রঙের দৃঢ় বন্ধনী দাঁড়িয়ে আছে শক্তি আর তেজের (আগুন) মূর্ত প্রতীক হয়ে। খোলা প্রাঙ্গণে জালি করা সাদা রঙের পাতাগুলো তুলোর মেঘে মিশে নিশ্বাস নিচ্ছে বাতাসে (মরুত) আর মণ্ডপের চূড়ায় মহাশূন্যের (ব্যোম) এক মহাবৃত্ত, তার বিস্তৃতি জুড়ে অসংখ্য আলোক বিন্দু যেন মহাকাশের তারার মতো প্রসারিত। মঙ্গলবার দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে ছিল কুমারী পূজা ও সন্ধি পূর্জা। বিকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসে বনানীর পূজামণ্ডপে প্রকৃতির এমন মূর্ত ছোঁয়ায় মুগ্ধ প্রীতি চক্রবর্তী। নান্দনিক তোরণের সামনে দাঁড়িয়ে ছোট বোনের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন তিনি। পরে দেবীর সঙ্গেও ছবি তুলতে দেখা যায়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের...