উইলিয়াম টেইন্টন ছিলেন স্রেফ এক সাধারণ অফিস সহকর্মী, বয়স কেবল ২০। লন্ডনের সোহোর ২২ ফ্রিথ স্ট্রিটে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় তার কাজ। কিন্তু ১৯২৫-এর শরতে ভাগ্য হঠাৎ তাঁকে টেনে নিয়ে গেল। কোথায়? মাত্র এক তলা ওপরে। তার জন্য সেখানেই অপেক্ষা করছিল ইতিহাস। উপরে, ছোট্ট এক ঘরোয়া ল্যাবরেটরিতে, নিরলস পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন প্রায় খ্যাপাটে এক ‘গবেষক’। নাম জন লোগি বেয়ার্ড। এই বেয়ার্ড এর আগে কাঠের পুতুলে পরীক্ষা চালিয়েছেন বটে, তবে এখন তার দরকার ছিল জ্যান্ত মানুষ! না, ইন্ডিয়ানা জোন্সের ওম পুরির মতো বলি দেওয়ার জন্য নয়, স্রেফ একটা যন্ত্রের সামনে বসার জন্য। তবে, ভয়াবহ গরম সে যন্ত্র! উত্তেজনায় তিনি প্রায় ছুটে গিয়ে টেইন্টনকে ডাকলেন বেয়ার্ড। বরং বলা ভালো, টেনে নিয়ে গেলেন সেই ঘরে। টেইন্টন পরবর্তীতে স্মৃতিচারণ করেছিলেন, “মি. বেয়ার্ড এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলেন...