বাংলাভাষীদের মধ্যে কোরআনের শিক্ষা ও বাণী প্রচারে অনুবাদ ছিল অপরিহার্য। ইসলাম বাংলায় আগমনের পর থেকেই এ প্রয়াস শুরু হলেও এর লিখিত রূপ ধরা দেয় কয়েক শতাব্দী পরে। ইতিহাসের পরিক্রমায় বহু আলেম, সাহিত্যিক ও গবেষক কোরআনের আংশিক কিংবা পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেছেন। এ অঞ্চলে কোরআন অনুবাদের সূচনা হয় চতুর্দশ শতাব্দীতে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন কবিদের একজন শাহ মুহাম্মদ সগীর ১৩৮৯ সালে কাব্যছন্দে সুরা ইউসুফ অনুবাদ করেছিলেন। যদিও তিনি পূর্ণাঙ্গ কোরআন অনুবাদ করেননি, তবুও এটিই বাংলা ভাষায় কোরআন অনুবাদের প্রাথমিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে অনুবাদের কাজ নতুন গতি পায়। রংপুরের মটুকপুর নিবাসী মাওলানা আমির উদ্দিন বসুনিয়া ১৮০৯ সালে আমপারা বাংলায় অনুবাদ করেন। এটি ছিল কাব্যানুবাদ এবং বাংলা পুঁথি সাহিত্যের ভাষায় রচিত। যদিও আংশিক, তবুও তিনিই আধুনিক বাংলায় কোরআন অনুবাদের পথিকৃৎ বলে...