সেই ভয়াল রাত এখনো ভুক্তভোগীদের মনে রক্তক্ষরণ ঘটায়। পুড়ে ছাই হয়েছিল শত বছরের পুরোনো ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ধ্বংস হয়েছিল অসংখ্য অমূল্য বৌদ্ধমূর্তি, ভস্মীভূত হয়েছিল অন্তত ৩০টি বসতঘর। শুধু রামুই নয়, পরদিন একই ধারা দেখা যায় উখিয়া, টেকনাফ ও চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতার ওপর নেমে এসেছিল অকল্পনীয় বিপর্যয়। কথিত কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবককে ঘিরে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া গুজবকে কেন্দ্র করে হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে সহিংসতার আগুন। রাতারাতি রামুর শান্ত জনপদে নেমে আসে দুঃসহ আতঙ্ক। হাজার হাজার মানুষ সশস্ত্র হয়ে নেমে পড়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগে। সেই এক রাতেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শতাব্দীপ্রাচীন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে ফেলা হয়। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর থানায়...