হাসান সাহেবের বয়স ৬৫ বছর, অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। বহুদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হৃৎপিণ্ডের সংকোচনক্ষমতা কমে আসে। সিঁড়ি ভাঙলে শ্বাসকষ্ট হয়, পা ফুলে যায়। একদিন হঠাৎ শ্বাসকষ্ট খুব বেড়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দুর্বল হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে পারছিল না, ফলে হাসান সাহেবের কিডনি পর্যাপ্ত রক্ত পাচ্ছিল না। এ কারণে কিডনি হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়, প্রস্রাব কমে যায় এবং শরীরে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান জমতে শুরু করে। এভাবে হৃদ্রোগের কারণে হাসান সাহেবের কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। হাসান সাহেব জানতেন, তাঁর হৃদ্রোগ হয়েছে, কিন্তু এটা যে কিডনির ওপরও প্রভাব ফেলবে, তা কখনো ভাবেননি। ৩৫ বছর বয়সী গৃহিণী আমেনা বেগম বেশ কয়েক বছর ধরে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এর...