দুর্গাপূজা ঘিরে বসা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর ঢাকের হাটের ঐতিহ্য ৪০০ বছরের। মহাষষ্ঠীর প্রতিমার আসনে প্রতিস্থাপন থেকে বিসর্জন—দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার সবখানেই ঢাকের বাজনা চাই-ই চাই। দুর্গাপূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতার প্রধান অনুষঙ্গ ঢাকের চাহিদা মেটাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রতিবছরের মতো এবারও বসে ‘ঢাকের হাট’। মণ্ডপে বাদ্য বাজানোর প্রয়োজনে দর–কষাকষির মাধ্যমে পূজারিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এই হাটের রীতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে মণ্ডপের সংখ্যা। এই সংখ্যা বাড়লেও ঢাক ও ঢাকির সংখ্যা বাড়েনি। বেড়েছে ঢাকিদলের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অর্থমূল্য। হাট থেকে ঢাকিদল নিতে কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছেন কৃষ্ণ চন্দ্র রায় নামের একজন। ৮৫ হাজার টাকায় ছয়জনের একটি ঢাকিদলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। দলটির প্রধান সন্তোষ চন্দ্র। কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, গত বছরও একই মণ্ডপের জন্য ছয়জনের একটি দল নিয়ে গেছেন ৫০ হাজার টাকায়।...