গোদের উপর বিষফোড়া। প্রথম দফায় জামিনের জন্য দরকার ছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা উকিল, মোক্তার ইত্যাদি ব্যয় বাবদ। বিনিময়ে কথা ছিল নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। কিন্তু বিধি বাম সেই শয়তান প্রভাবশালী উক্ত পরিবারটির চেয়েও বেশি টাকা ব্যয় করে আরও পাঁচজন উকিল ভাড়া করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হৈচৈ বাধালে মেয়েটির জামিন রহিত হয়। এবার জামিন পাইয়ে দেওয়া এবং পরবর্তী সময় মামলা লড়ার খরচসহ বাঘা উকিল নিয়োগে লাগবে দেড় লাখ টাকা। এনজিও এবং বিভিন্ন উৎস থেকে চড়া সুদে ধার করে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মেয়েটি এখন মায়ের কোলে ফিরতে পেরেছে। আলোচিত এই পরিবারটি স্বাধীনভাবে কর্মকাণ্ড করতে পারল না, কদিন উৎপাদনে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হলো (যা জাতীয় আয়ের অংশ) এবং ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত থাকল। অথচ বাংলাদেশের তিপ্পান্ন বছরের উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে আমাদের সবার কান ঝালাপালা।...