তারপর থেকেই শহরটিতে উৎসবের ঋতুতে ভেসে বেড়াচ্ছে শোকের ছায়া। দুর্গাপূজা প্রায় বন্ধ, স্থানীয়রা উৎসব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। জুবিনের শেষযাত্রা যেন হয়ে উঠেছিল এক মহাযাত্রা। প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো দেখতে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে কামরূপের কামারকুচি শ্মশান পর্যন্ত হাজারো মানুষ ভিড় জমিয়েছিল। কেউ গামছা হাতে চোখের পানি মুছেছেন, কেউ আবার বাইক র্যালিতে শোকযাত্রার সঙ্গী হয়েছেন। ফুলে সাজানো অ্যাম্বুল্যান্স চলতেই চারদিক মুখর হয়ে উঠেছিল গান আর স্লোগানে—‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’, ‘জয় জুবিনদা’, ‘জুবিনদা জিন্দাবাদ’। গান থেমে গেলেও মানুষের কণ্ঠে বেজে উঠেছিল তার সুর। আসাম কেঁদে বিদায় জানায় তার প্রিয়তম সন্তানকে। সব দিকে আলোর মেলার ছড়াছড়ি হলেও আসাম জুড়ে এবার দুর্গাপূজায় নেই সেই আলো। কাহিলি পাড়ার পূজার দায়িত্ব ছিল জুবিনের কাঁধে। সাধারণের সঙ্গে মিশে যাওয়া এই মানুষটিই ছিলেন...