সুপরিচিত মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাই ‘সফট পাওয়ারে’র সংজ্ঞা দিয়েছেন এভাবে– আকর্ষণ (অ্যাট্রাকশন) বা ধৈর্য ধরে তাগাদার (পারসুয়েশন) ভিত্তিতে কাউকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো— যেখানে কোনও জোরজবরদস্তি বা টাকাপয়সা লেনদেনের লেশমাত্র থাকে না! কূটনীতির ক্ষেত্রে এই ‘সফট পাওয়ার’ আন্তর্জাতিক বিশ্বে আজ একটি শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ তাদের সংস্কৃতি, শিল্পকলা, বিজ্ঞান, প্রকৃতি বা সাহিত্যের নানা উপাদানকেই পররাষ্ট্রনীতি রূপায়নের প্রভাবশালী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন গত একবছরেরও বেশি সময়ের ওপর এক নজিরবিহীন শীতলতার পর্ব পেরোচ্ছে, তখন এই অস্বাভাবিক সময়টাকে ‘অ্যাড্রেস’ করার জন্য ঢাকার দিক থেকেও কিন্তু স্পষ্টতই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে সফট পাওয়ার কূটনীতি। গত কয়েক মাসের মধ্যে ভারতে হাঁড়িভাঙা আম, পদ্মার ইলিশ, চিনিগুঁড়া চাল পাঠানো, ঢাকাই জামদানির প্রদর্শনী কিংবা বিমসটেকের মঞ্চে বাংলাদেশের...