সীমান্তের ওপারে পৌঁছেই কারও পরিচয় হয় ‘কর্মী’, কারও ‘বস্তু’—সবাই পাচারের শিকার। ভারত–বাংলাদেশের ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ করিডোর, যেখানে নারী ও শিশুরা পাচারকারীদের প্রধান লক্ষ্য। জোরপূর্বক শ্রম থেকে বাণিজ্যিক যৌনশোষণ—এই সীমান্ত এখন অপরাধীদের জন্য একটি পথ। ভারত এখানে উৎস, ট্রানজিট এবং গন্তব্য দেশ; বাংলাদেশ প্রধানত উৎস ও ট্রানজিট। সীমান্তের অনিরাপদ ভূগোল, দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য এবং প্রশাসনের দুর্বলতা পাচারের জালকে দিন দিন আরও বিস্তৃত করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এই অবৈধ বাণিজ্য থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়—যা শুধু অর্থনৈতিক লাভ নয়, অসংখ্য মানুষের জীবনের মূল্যহ্রাসের নিষ্ঠুর চিত্র। এই সমস্যার ঐতিহাসিক শিকড় ১৯৪৭ সালের দেশভাগে নিহিত। দেশভাগ কৃত্রিমভাবে সীমান্তরেখা তৈরি করে সীমান্ত সংলগ্ন অভিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিভক্ত করে দেয়। ফলে, সরকার বা প্রশাসন সীমান্ত অতিক্রমকারীদের ‘স্বাভাবিক অভিবাসী’...