ফিরোজা বেগমের ঘরটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। চারপাশের মাটির বেড়া হেলে পড়েছে, যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। চালে মরিচাধরা পুরোনো টিন, যেখানে অসংখ্য ছিদ্র ও ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকে পড়ে। রাতে জায়নামাজের ওপর বসানো একটি পুরোনো জলচৌকিতেই ঘুমাতে হয় তাকে। ঝড়-বৃষ্টি একসঙ্গে হলে ওই ঘরে থাকা আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। কথা বলতে বলতে এই অসহায় বৃদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, কোনো দয়ালু মানুষ যদি আমারে একটা ঘর বানাইয়া দিতো আর একটা টিউবওয়েল বসাইয়া দিতো, আমি সারাজীবন নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করতাম। রাতে যদি একটু শান্তিতে নামাজ পড়তে আর ঘুমাতে পারতাম, তবে সব দুঃখ ভুলে যাইতাম। স্বামীর রেখে যাওয়া ভাঙা মাটির কোঠা ঘর ছাড়া তার কোনো জমিজমা নেই। অন্যের টিউবওয়েলে পানি আনতে এবং অন্যের ল্যাট্রিন ব্যবহারে দারুণ...