বরগুনার পাথরঘাটার গহরপুর গ্রামে বেড়িবাঁধের ঢালে ভাঙাচোরা ঘর। বাইরে পলিথিনের ছাউনি, পাশে মুরগির খাঁচায় গোঁজা ইলিশের জাল।এই জাল দিয়ে একসময় বিষখালী নদীতে মাছ ধরতেন জেলে বারেক আকন। জালে মাছ ধরে চলত তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। ৬০ বছর ছুঁই ছুঁই বারেক এখন আর নদীতে নামেন না। বিষখালীর তীরে দাঁড়িয়ে বারেক বলেন, ‘মা জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু পেট চালাত বিষখালী। এখন বয়স হয়েছে, কিন্তু নদীর বুকেও বার্ধক্য নেমেছে। কারণ জালের পর জাল ফেলে নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিয়েছে। নদীর বুকজুড়ে এখন কেবল জাল আর জাল। শুকনা মৌসুমে নদী থমকে যায়, তখন স্রোত থাকে না, আর মাছেরও দেখা মেলে না। ’ বারেকের মতো তাঁর দুই ছেলেও ইলিশ ধরা ছেড়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। বিষখালী নদীতে এখন খোঁটাজালের (স্থানীয়ভাবে পরিচিত খুঁটাজাল) বিস্তার। এই জালের জঞ্জাল...