আমৃত্যু শিল্প ও সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত থাকা খুব সহজ ব্যাপার নয়। তাও আবার নিবিষ্টতার সাথে। কেবল একটি মাধ্যমে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন এমন নয়। সৃজনশীলতা ও মননশীলতার সবগুলো বিভাগে সাফল্যের সাথে অনন্য ভূমিকা রেখে নিজেকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তিনি।তিনি কালের যাত্রার ধ্বনি নিজে শুনেছেন এবং আমাদেরকেও শুনিয়েছেন।আমি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের কথা বলছি। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গান, নাটক, কাব্যনাট্য, অনুবাদ কর্ম, চিত্রকলা, চলচ্চিত্র - এই যে বহুমাত্রিক সৃজন কর্মে নিজেকে যুক্ত করতে পারা, বাংলা সাহিত্যে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।যে মাধ্যমেই তিনি হাত দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছেন।পঞ্চাশের দশক বাঙালির শিল্প ও সাহিত্যে কবি-লেখকদের জন্য ছিলো অগ্নিগর্ভ সময়। ইংরেজ উপনিবেশ থেকে নতুন দুটো রাষ্ট্র হলো সবে। ভারত এবং পাকিস্তান। অনেক রক্তপাত, মাতৃভূমি ছেড়ে চলে আসা এবং নতুন এক পরিবেশে...