ভুনা খিচুড়ির মুগের ডাল কড়া ভাজা আর হালকা ভাজা, মানে সামান্য টেলে নেওয়ার মধ্যেই খিচুড়ির স্বাদে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। আমাদের বাড়িতে যেটা নিয়মিত খাওয়ার জন্য হতো, সেটায় ডালটা একটু হালকা ভাজা, খিচুড়িটা একটু নরম, একটু ‘সাদা সাদা টাইপ লুক’ হতো। আর ভোগের খিচুড়ি? মানে যেটা পাথরের থালায় বেড়ে পূজার আসনের সামনে নিবেদন করতো, গোল একটা গম্বুজের মতো করে, সেটার ওপরে একটা তুলসি পাতা দেওয়া থাকতো। যেন যতটুকু সময় পূজার ধুপ-ধূনো জ্বলবে, প্রদীপ জ্বলবে ততক্ষণ খিচুড়িটার ওপর যেন কোনও ‘জার্ম’ বসতে না পারে, সে জন্য তুলসি পাতার পাহারা। আর সেই খিচুড়ির ডালটা কড়া ভাজা। একটু পোড়াটে হয়ে যেত মাঝে মাঝে। সেই খিচুড়ি পুরোটাই খাঁটি ঘিয়ে, চাল-ডাল ভুনে নেওয়া। সেই খিচুড়িটা একটু ঝাল ঝাল। সেই খিচুড়িটা লাকড়ির চুলার দমে জ্বাল। পূজার ‘অথেনটিক খিচুড়ি’...