বছর দুই ধরে ঢাকা থেকে নৌপথে টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। সেই সুযোগ হলো গত মাসে। আমাদের তিন সদস্যের পরিবার। সপ্তাহের শেষ দিন নির্ধারিত সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পৌঁছে গেলাম পূর্বাচলের শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটের জেটি। এখানেই নোঙর করা জাহাজে উঠে পড়লাম। ২৮টি কেবিনে ৭৫ জন অতিথি ধারণক্ষমতার জাহাজটি দোতলা। নিচের তলায়ই বেশির ভাগ কেবিন। কয়েকটি ট্রিপল আর বাকিগুলো ডাবল বেড। প্রতিটি রুমে অ্যাটাচড টয়লেট আর শীতাতপনিয়ন্ত্রণব্যবস্থাও আছে। দোতলায় বিশাল ডাইনিং হল, অবশিষ্ট কেবিন আর মাস্টারব্রিজ। মাস্টারব্রিজের ওপরে বিশাল ছাদে চেয়ার–টেবিল দিয়ে বসার ব্যবস্থা। জাহাজের সুপরিসর দুটি কক্ষের একটি প্রায় তিন মাস আগে বুকিং দিয়েছি। চাবি নিয়ে কেবিনে লাগেজ রাখতেই সান্ধ্যনাশতার ঘোষণা এল। চাওমিন আর চা খেতে খেতেই জাহাজ ছেড়ে দিল। কাঞ্চন ব্রিজ পেরিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী বেয়ে আমরা এগিয়ে চললাম। আমার...