নেতৃত্ব মানবসমাজের স্থিতিশীলতা, ন্যায়বিচার এবং মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করার অন্যতম মূল ভিত্তি। একজন যোগ্য নেতাকে নির্বাচন বা নিযুক্ত করা কেবল রাজনৈতিক বা নাগরিক কর্তব্য নয়—এটি এক নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বও বটে। বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলো—খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, ইহুদি ধর্ম, হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম—প্রতিটিই নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরে একজন নেতা কেমন হওয়া উচিত এবং সমাজের মানুষ কীভাবে তাঁদের নির্বাচন করবে। নিচে এসব মৌলিক শিক্ষার মূলভাবকে সংক্ষেপে তুলে ধরে আজকের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করা হলো। খ্রিস্টীয় শিক্ষায় নেতৃত্বকে মূলত সেবামূলক দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। বাইবেলের নতুন নিয়মে যিশু খ্রিস্ট বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড়, সে-ই তোমাদের সেবক হবে” (ম্যাথিউ ২৩:১১)। পাস্তোরাল গ্রন্থগুলোতে নেতার জন্য নির্দোষতা, আত্মসংযম, অতিথিপরায়ণতা ও শিক্ষাদানের ক্ষমতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে (১ তিমথি ৩:২)। অতএব খ্রিস্টীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য...