জরিপ বলছে, সার্বিকভাবে নানা সংকট ও উদ্বেগের কারণে প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী নন। কী হবে দেশটার, এই হাহাকার শুনতে পাওয়া যায় চারপাশে। জরিপের ফল দেখে এ প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, এত রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পরও ৪৬ শতাংশ মানুষ কেন সরকার ও সমাজের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। প্রতিদিন পত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয় তাতে এটা স্পষ্ট যে নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের মধ্যে ভয় বাড়ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সমাজে প্রতিনিয়ত সংঘাতমূলক মনোভাব ছড়াচ্ছে। একদিকে দেশে কর্মসংস্থান নেই, অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগও কমছে, ফলে আতঙ্ক কর্মপ্রত্যাশীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। জনতুষ্টিবাদী রাজনীতি বলে যে প্রবণতা বিশ্বব্যাপী, বাংলাদেশ তার উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যুক্তি এবং সহনশীলতার জায়গা দখল করেছে উগ্রতা। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা বাড়লে তার প্রভাব...