শীতের রাত। কুয়াশা ঢাকা ভোরের রাত্রে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। শুধু একটি চায়ের দোকান খোলা আছে। টিমটিমে কেরোসিনের কুপিটা ঘন কুয়াশা ভেদ করে অনুজ্জ্বল আলো ছড়াচ্ছে। এখনো ভোর হয়নি, চারটা বাজে। হঠাৎ ঝকঝক শব্দে ট্রেনটা দাড়িঁয়ে পড়ে স্টিশনে। পরের ট্রেনটা আসলে এটা ছাড়বে। আমি অন্য ট্রেনের অপেক্ষায়। কাধেঁ ব্যাগটা ঝুলিয়ে হাঁটতে থাকি। হাটঁতে হাটঁতে চায়ের দোকানটার ভিতরে ঢুকে পড়ি। চায়ের অর্ডার দিয়ে পকেট থেকে দেশলাই বের করে সিগারেটে আগুন জ¦ালাতে দেখি উজিয়ে এক ভদ্র মহিলার সাথে এক ভদ্রলোক দোকানে প্রবেশ করছে। পোশাক আশাকে ভিনদেশী মনে হলো। সাহস হলো না পরিচয় জিজ্ঞেস করতে। ভদ্রলোকটিই এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো- জনাব এই রাতে গ্রামে যাওয়ার কোনো বাহন পাওয়া যাবে? বললাম, ভোরের আগে কিছু পাবেন না। কোন গ্রামে যাবেন? ভোর হতে কয়েক ঘণ্টা লাগবে...