অস্তিত্ববাদ বা EXISTENTIALISM দর্শনশাস্ত্রের কোনো নির্দিষ্ট শাখা নয়, বরং এটি উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দী জুড়ে দর্শনে দেখা দেয়া একটি প্রবণতা। এর আগে দর্শনশাস্ত্র জটিল এবং বিমূর্ত হয়ে উঠছিল। প্রকৃতি ও সত্যের ধারণা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দার্শনিকেরা মানুষের গুরুত্বকে উপেক্ষা করতে শুরু করেছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীতে সোরেন কিয়ের্কেগার্ড এবং ফ্রেডরিখ নীৎশের হাত ধরে এমন কয়েকজন দার্শনিক আবির্ভূত হলেন, যারা নতুনভাবে মানুষের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিলেন। যদিও ‘অস্তিত্ববাদ’ শব্দটি বিংশ শতাব্দীর আগে ব্যবহার করা হয়নি এবং এই দার্শনিকদের মধ্যেও চিন্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভিন্নতা ছিল, তবুও এদের মধ্যে একটি সাধারণ বিষয়ে ঐকমত্য ছিল—দর্শন মানুষের অস্তিত্বের অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে আলোচনা হওয়া উচিত, আর তখনই অস্তিত্ববাদ মানুষের জীবনের অর্থ ও আত্ম-আবিষ্কারের অনুসন্ধান করা শুরু করে। অস্তিত্ববাদী চিন্তা দার্শনিকভেদে ভিন্ন হলেও এর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে। জীবনের...