আগে ঘেরপাড়া গ্রামে এলেই মনে পড়ত ১৯৬০ সালে প্রভাতচন্দ্র সেন সম্পাদিত ও প্রকাশিত, চার দশকের বাংলা গান সংকলনটির ২১ পৃষ্ঠায় লেখা গানটির কথা। ‘শিয়ালদহ গোয়ালন্দ আজও আছে ভাই/ আমি যাব আমার দেশে সোজা রাস্তা নাই।’ পাসপোর্ট-ভিসা করে দর্শনা-গেদে দিয়ে পাশের গ্রামে পৌঁছাতে প্রায় এক দিন চলে যায়। এখন চাইলেও ভিসা পাওয়া যায় না সহজে। পচি খাতুন বুঝতে পেরেছিলেন, ‘আল্লার ইশারা’ হয়ে গেছে। তাই খুবই পেরেশান ছিলেন একবার বাংলাদেশের ঘেরপাড়ায় নানাজির বাড়ির দাওয়ার গন্ধ নেওয়ার জন্য। মামাতো-খালাতো ভাইবোনদের গায়ের-হাতের ছোঁয়া নেওয়া।...আশরাফ আলী গলগল করে বলে যান তাঁর বুজির কথা। অনেকবার শোনা কথা, তবু পুরোনো মনে হয় না। মহররম মাসে পুঁথিপাঠের শ্রোতার অপার মুগ্ধতা নিয়ে শুনতে থাকি আশরাফ আলীর বুজি-বন্দনা, বুজির জন্য তাঁর মাতম। মামা-খালার ছেলেমেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় হওয়ায় তাঁকে সবাই...