উত্তর খুঁজতে গেলে শরিয়তের দলিল ও ফিকহবিদদের অভিমত এক অটল সত্য প্রকাশ করে—কিছু পদ্ধতি রয়েছে স্পষ্টভাবে হারাম, আর কিছু সীমিত আকারে জায়েজ। সারোগেসির মূল ধারণা হলো অন্য নারীর জরায়ু ভাড়া করে সন্তান জন্ম দেওয়া। স্বামী-স্ত্রীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ব্যবহার করলেও যদি ভ্রূণ অন্য নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়, ইসলামে এর কোনো অনুমতি নেই। এ প্রক্রিয়া হারাম। কুরআনের ভাষায়, তাদেরকে তাদের আসল পিতার নামে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে অধিক ন্যায়সংগত। (সূরা আহযাব, ৫) যখন মাতৃত্ব দুই নারীর মাঝে বিভক্ত হয়—একজন জৈবিক, আরেকজন শারীরিক—তখন শিশুর প্রকৃত পরিচয় মিশে যায়। শরিয়ত যাকে রক্ষা করতে এসেছে, সেই বংশ ও পরিচয়ের পবিত্রতা এখানে বিনষ্ট হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) কঠোর সতর্কবাণী দিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার বংশ অন্য কারও সঙ্গে যুক্ত করে, সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে। (সহিহ...