আজ তার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা স্মরণ করি সেই ব্যতিক্রমী জীবনকে, যা ছিল একাধারে যোদ্ধা, সাধক এবং একজন দূরদর্শী মানবপ্রেমীর উপাখ্যান। পিতার ডাক্তারি পেশার সুবাদে শৈশব থেকেই তিনি দীক্ষিত হয়েছেন মানবসেবার মন্ত্রে। ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন শেষ করে তিনি বাবার মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা, বিশেষ করে অনুজ চার ভাই ও দুই বোনের লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তা সম্ভব হয়নি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে, যোগ দেন রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে। সেখানেই তার চরিত্রের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্টটি উন্মোচিত হয়। প্রচলিত নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি সিগনালিং শাখায় চাকরি না নিয়ে রাডার অপারেটর হওয়ার জন্য চার দিন কারাবরণ করেন। কিন্তু, তার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে কর্তৃপক্ষ হার মানতে বাধ্য হয়। যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে তিনি পাবনার ডাক বিভাগে যোগদান...