নেত্রকোনা পৌর এলাকার নাগড়া আনন্দবাজার এলাকার বাসিন্দা রাজন মিয়া। থাকেন সরকারি জায়গায় টিনের একটি ঝুপড়ি ঘরে। তাতে বেশিরভাগ জায়গায় পলিথিন দিয়ে ঘেরা। বৃষ্টি এলে সারা ঘরে পানির থাকে। ছোট একটা চৌকিতে স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন মানুষের গাদাগাদি করে বসবাস। অভাবের তাড়নায় দুটি সন্তান বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি। রাজন কখনও রাজমিস্ত্রীর কাজ, কখনও রিকশা চালানো আবার কখনও দিনমজুরির কাজ করেন। যখন যে কাজ পান তখন তাই করেন তিনি। কাজ না থাকলে রোজগারও নেই। অথচ ঘরে ৪ সন্তান ও স্ত্রী। বড় দুই ছেলে ৬ ও ৪ বছর বয়সী। কিন্তু অপুষ্টি ও ক্ষুধায় ভুগতে ভুগতে ওদের দেখলে মনে হয় ৩ ও ২ বছর বয়স। পরের দুটো সন্তান যমজ (একটা ছেলে, একটা মেয়ে)। মাত্র দু’মাস বয়স। কিন্তু এরাও মায়ের বুকের দুধ পায়...