বাংলা লোকসংগীতের ভুবনে লালনগীতি এক অমর ঐতিহ্য। এটি কেবল গান নয়, বরং এক আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যম, মানুষের চেতনার মুক্তির আহ্বান এবং ভেদহীন মানবতার এক অব্যর্থ ভাষা। লালন শাহ তাঁর জীবদ্দশায় যেমন এই দর্শনকে সুর ও বাণীর মাধ্যমে মানুষের অন্তরে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তেমনি পরবর্তী যুগে কিছু নিবেদিত সাধক শিল্পী এই গানকে তাঁদের কণ্ঠে ধারণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনায় বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেইসব শিল্পীদের মধ্যে একজন কিংবদন্তি কণ্ঠসাধক সম্প্রতি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর প্রস্থান শুধু একজন শিল্পীর চলে যাওয়া নয়, বরং লালনগানের ধারাবাহিক যাত্রায় এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি। “পাখি কখন জানি উড়ে যায়”- এই লালনগীতির অমোঘ সত্য যেন তাঁর জীবনের সঙ্গেই মিলে গেছে। লালনের গান বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির মাটি থেকে উৎসারিত হলেও এর বিস্তার বহুদূর। অষ্টাদশ শতকের বাংলার সাম্প্রদায়িক বিভাজন, ধর্মীয় গোঁড়ামি...