মানুষ এক সময়, মানুষকেই খাঁচায় বন্দি করে রাখত বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় দেখানোর জন্য। মানব চিড়িয়াখানা বা ‘নৃতত্ত্ববিষয়ক প্রদর্শনী (Ethnological Exposition) নামের অমানবিক, বর্ণবাদী, বৈষম্যমূলক প্রথার প্রচলন ছিল উনিশ, বিশ ও একুশ শতাব্দীতে। সেসব জায়গায় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা আদিবাসীদের দেখানো হতো। মানব চিড়িয়াখানা ঠিক কবে থেকে চালু হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। কিন্তু মেক্সিকোর টেনোকটিট্লানের (Tenochtitlan) নবম শাসকের সময় একটি চিড়িয়াখানার কথা জানা যায়, যেখানে নানা রকম পশুপাখির পাশাপাশি বামন, আলবিনো এবং কুঁজোদের দেখানো হতো। ১৮৭০ সালের কাছাকাছি সময় থেকে মূলত মানব চিড়িয়াখানাগুলো, জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে। ১৮৭৮ ও ১৮৮৯ সালে, প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে একটি নিগ্রো গ্রামের মডেল দেখানো হয়। ১৮৮৯ সালের প্রদর্শনীতেই এসেছিল ২৮ মিলিয়ন মানুষ। সেবারের মূল আকর্ষণ ছিল, ৪০০ আদিবাসী যাদের প্রদর্শন করা হচ্ছিল।...