পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো নিয়ে ফের বিতর্ক উঠেছে। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এশিয়া পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার– সব মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নর্থ আটলান্টিকের এই সামরিক জোট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পশ্চিম ইউরোপের ১০ দেশ মিলে গঠন করে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন (ন্যাটো)। যার মূল নীতি ছিল, ‘এক দেশের ওপর আক্রমণ মানে সবার ওপর আক্রমণ’। ১৯৫০-১৯৮৯ সালে স্নায়ুযুদ্ধ যুগে ন্যাটোকে টেক্কা দিতে ওয়ারশ চুক্তি করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইউরোপ রূপ নেয় পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে। একে অপরকে ঠেকাতে সামরিক মহড়া ও গুপ্তচরবৃত্তি চললেও, সংঘাতে জড়ায়নি কেউই। নব্বইয়ের দশকে স্নায়ুযুদ্ধের পর ১৯৯১ সালে ভেঙে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। ফলে বিলুপ্ত হয় ওয়ারশ চুক্তি। প্রয়োজনীয়তা ফুরায় ন্যাটোর। কিন্তু সংযত হওয়ার বদলে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে এই...