মুক্তিপণ দিয়ে জীবন বাঁচানো কিংবা জোরপূর্বক মালয়েশিয়া নৌকায় ওঠা। এই দুয়ের মধ্যে যেকোনো একটিই ছিল তাদের সামনে। কারও মুক্তিপণ না মেটাতে পেরে পরিবারে ফিরেছে লাশ। কারও দেহ ভেসে ওঠেছে সাগরের নীল জলে, আবার কারও মরদেহ মিলেছে পাহাড়ি ঝরনার স্রোতে। কক্সবাজারের টেকনাফের গহিন পাহাড় এখন রীতিমতো মৃত্যুপুরী। সেখানে কত বাঙালি ও রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণী এভাবে প্রতিদিন মৃত্যুর প্রহর গুণছে, তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। স্থানীয় প্রশাসনেরও জানা নেই ঠিক কত মানুষ আজও জিম্মিদশায় রয়েছে পাচারকারীদের খপ্পরে। গত সোমবার রাতে বিজিবি–র্যাবের যৌথ অভিযানে টেকনাফের পাহাড়ি আস্তানা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৮৪ জন মালয়েশিয়াগামী যুবক। তাদের মধ্যে রয়েছেন মুন্সীগঞ্জের অমিত হাসান, একই জেলার মানিক মিতা ও কুষ্টিয়ার রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে। তাদের কথায় ওঠে এসেছে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা, যা শিহরণ জাগায়। পাহাড়ি জঙ্গলের আঁধারে গড়ে...