চোখে আলো নেই টানা ১৮ বছর। তবুও হাত থেমে নেই আব্দুল গণি মিয়ার। বয়সের ভার, অন্ধত্ব কিংবা অসুস্থ স্ত্রী—কোনো কিছুই দমাতে পারেনি তার বেঁচে থাকার সংগ্রাম। ৬৭ বছরের গণি মিয়ার বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বুড়িচালা গ্রামে। সংসারে আছেন ৬২ বছরের স্ত্রী হাউসি বেগম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী। ফলে সংসারের ভার কাঁধে নিয়েছেন একাই গণি মিয়া। একসময় তার দৃষ্টি ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখে ঝাপসা দেখা শুরু হয়। অবশেষে ১৮ বছর আগে পুরোপুরি হারান দৃষ্টিশক্তি। তবে অন্ধ হলেও দমে যাননি তিনি। গণি মিয়া কখনো ভিক্ষার ঝুলি তোলেননি। বরং বন-জঙ্গল থেকে বাঁশ কুড়িয়ে এনে ইশারায় কেটে তৈরি করেন কুলা, টেপারি ও ঝুড়ির মতো হস্তশিল্প। প্রতিদিন উপজেলার আলিশার বাজারে বসে এগুলো বিক্রি করেন। কাজ করার সময় ধর্মীয়...