যতদূর জানা যায়, হাসপাতালটিতে অক্সিজেনের এমন কোনো অপ্রতুলতা ছিল না যে, একজন মুমূর্ষু রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে আরেকজনকে দিতে হবে। এর চেয়ে বড় প্রশ্ন, একজন ক্লিনার কি কোনো রোগীর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? এটি কি তার দায়িত্ব? তার মানে, এটি শুধু একটি অনিয়ম নয়, বিরাট অপরাধ। কারণ, এতে একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে এবং বাস্তবে হয়েছেও তাই। তাহলে ওই ক্লিনার তার নিজের অবস্থান জেনেশুনেও কেন এরকমটা করতে গেল—এমন প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এখানে এটা অনুমান করা খুব কঠিন নয়, ওই হাসপাতালে এসব কর্মীর মধ্যে হয়তো এ প্রবণতা বা চর্চা বহুদিন ধরেই রয়েছে। ফলে এরকম একটি ভয়ানক কাজ করতে তার দ্বিধা হয়নি। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সাহায্যকারীদের মধ্যে রোগীদের উপকারের নামে এক ধরনের উৎপাতের কথা আমরা জানি। হাসপাতালে রোগীর জন্য শয্যার...